দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি
শেরপুর জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি। র্যালিতে জেলা, উপজেলা ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দলীয় স্লোগানে শহরকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। র্যালিটি থানামোড়ে এসে শেষ হয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “যুবদল দেশের রাজনৈতিক প্রজন্মের শক্তি। সঠিক পথে পরিচালিত হলে এটি দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, “যুবদল দেশের ইতিহাসে সাহসী ও আত্মনির্ভরশীল প্রজন্ম গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাদের অবদান ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনির্মাণে প্রেরণার উৎস হবে।”
প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ (সদর) আসনের ধানের শীষ মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, “যুবসমাজ যদি দেশপ্রেম ও ন্যায়বিচারে উদ্বুদ্ধ হয়, দেশের উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়া দ্রুত সম্ভব। যুবদলের শক্তি দেশের ভরসার প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে সব ধর্মের মানুষ এদেশে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন এবং দেশের নারীরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুবদলের সভাপতি আতাহারুল ইসলাম আতা বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এটি ভবিষ্যতের রাষ্ট্র গঠনে নেতৃত্ব দেবে। যুবদল বিএনপির প্রাণ এবং তরুণ শক্তিই একদিন দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যুবদল সবসময় অগ্রভাগে থাকবে।”
সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, শহর বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাফর আলী, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আকরামুজ্জামান রাহাতসহ জেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।






