
শেরপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীরষক প্রকল্পের কারযক্রমসহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও করমপরিকল্পনা বিষয়ক অবহিতকরণ করমশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার শহরের চকপাঠক এলাকার খামারবাড়ির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই করমশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপপরিচালক সুকল্প দাস।বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীরষক প্রকল্পের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুর জেলা কারযালয় এই করমশালার আয়োজন করে।
করমশালায় প্রধান অতিথি সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল আজম, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, উপপ্রকল্প পরিচালক মোস্তফা কামাল, জেলা বীজ প্রত্যয়ন করমকরতা রুবিনা ইয়াসমিন, আণবিক কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্র, নালিতাবাড়ীর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক করমকরতা মাহবুবুল আলম তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক এমদাদুল হকসহ শেরপুরের পাঁচ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ করমকরতা ও কয়েকজন কৃষক বক্তব্য দেন।
করমশালায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীরষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন ও বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬০টি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের করমকরতারা বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ ও উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছেন। প্রকল্পের আওতাধীন বিভিন্ন প্রদরশনী প্লটের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের কারিগরি পরামরশ ও বিনা মূল্যে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছেন এবং খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূরণ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
করমশালায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পরযায়ের করমকরতাসহ অরধশত কিষান-কিষাণি অংশ গ্রহণ করেন।