
দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও শেরপুর-১ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘আমাদের অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদীরা যেন প্রতিষ্ঠা না পায় সেদিকে তৎপর থাকতে হবে। একটি দলের মধ্যে গঠনমূলক প্রতিযোগিতা থাকবেই, তাই বলে গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে বা গ্রুপিং করে আমাদের ধানের শীষের প্রতীককে অসম্মানিত করবো না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের তিনটি আসনই তারেক রহমানকে আমরা উপহার দিব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভবিষ্যতে তাঁর (তারেক রহমান) নেতৃত্বে উন্নয়নবঞ্চিত ও অবহেলিত শেরপুরকে উন্নয়নের রোল মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা সক্ষম হবো বলে বিশ্বাস করি। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সবাইকে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে ।’
ডা. প্রিয়াঙ্কা শনিবার রাতে শহরের মাধবপুর এলাকার বাসভবনে শেরপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব এ বি এম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ হযরত আলী ব্কতব্য দেন। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযেঙাগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে দলের ভেতর বৃহৎ ঐক্য গঠনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরে তিনটি আসনেই ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিব। সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই উপস্থিত সম্মানিত সকল মিডিয়া ভাইদের বলছি আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং আমাদের কোন ভুল ত্রুটি হলে সে বিষয়েও জানাবেন।’
সভায় সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হযরত আলী বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে শেরপুর জেলায় দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে ওই দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী, চেয়ারম্যান, এমপি এবং মন্ত্রীদের হয়েছে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইনশাআল্লাহ এবং ধানের শীষ প্রতীক বিজয়ী হলে আমরা শেরপুরে রেল লাইন, মেডিকেল কলেজ, ইউনিভার্সিটি, কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও পর্যটন খাতে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন, শেরপুরের তিনটি আসন তাঁকে উপহার দিতে পারলে এ বিষয়টি তিনি দেখবেন।
মতবিনিময় সভায় শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সিনিয়র সহসভাপতি মুগনিউর রহমান মনি, সহসভাপতি শাহরিয়ার মিল্টন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, নির্বাহী সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক দেবাশীষ সাহা রায়সহ শেরপুর প্রেসক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।