
শেরপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের হোসেনখিলা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক অসহায় বিধবা মহিলার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধবা আনোয়ারা বেগম ওই এলাকার মৃত আব্দুল মুন্নাফের স্ত্রী। তিনি চোখে কম দেখেন এবং কানেও কম শুনেন।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। এরইমধ্যে ১০ জুন মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। আর সেই ঝড়ে ভেঙে যায় ওই অসহায় বিধবা মহিলার একমাত্র থাকার বসতঘরটি।
হোসেনখিলা গ্রামের রতন মিয়া বলেন, ঝড়ে বিধবা মহিলার বসতঘরটি ভেঙে যায়। এরআগেও একবার ঝড়ে ঘরটি ভেঙে গেছিলো আমরা একাবাসী মিলে অসহায় বিধবা মহিলার ঘরটি মেরামত করে দেয়।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়ে আবারও ঘরটি ভেঙে যায়। সে চোখেও কম দেখে এবং কানেও কম শুনে এখন তার থাকার মতো কোন ঘর নাই, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানায় সরকার যেন একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়।
রমজান আলী বলেন, তিনি খুবই অসহায়, অনেক কষ্টে সে জীবন যাপন করে, ঝড়ে তার থাকার ঘরটি ভেঙে যায়। সরকার যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে তার অনেক উপকার হতো।
লিটন মিয়া বলেন, তিনি একজন অসহায় মানুষ তার থাকার ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পরে গেছে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি বিধবা মহিলারে যাতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
বিধবা মহিলার মেয়ে বিলকিস বলেন, আমার মা একজন গরীব অসহায় মানুষ। সে চোখে কম দেখে এবং কানেও কম শুনে। মঙ্গলবার রাতে ঝড়- তুফানে আমার মায়ের ঘরটি ভেঙে পরে যায়। পরে সকালে ভেঙে পরা ঘর থেকে আমার মাকে বের করি। আমার মায়ের থাকার কোন ঘর নাই, আমরা সরকারের কাছে ঘরটা একটা ঘর চাই।
সরকার যেন বিধবা মহিলাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন এমনটা দাবি এলাকাবাসীর।