
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া বাদলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সদর উপজলার ভীমগঞ্জ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজ মাঠে নিহত গোলাম জাকারিয়া বাদলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসী অংশ নেন। পরে জাকারিয়া বাদলের মরদেহ রঘুনাথপুর রাহমানিয়া গোরস্তানে দাফন করা হয়।
নিহত গোলাম জাকারিয়া বাদল ভীমগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে শেরপুরে যাওয়ার পথে ভীমগঞ্জ ভূইয়ারচর এলাকায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি মারা যান।
জানাজার প্রাক্কালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক। আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আব্দুল মান্নান, জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, স্থানীয় জামায়াত নেতা মো. খলিলুর রহমান, নিহত বাদলের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাদলকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জড়িত সকল আসামির গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। দাফনশেষে ভীমগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে মরহুম জাকারিয়া বাদলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ভীমগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে অবস্থানরত নিহত বাদলের স্ত্রী পপি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী। জেলখানায় আটক আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নূরে আলমের নির্দেশে বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই, জড়িতদের ফাঁসি চাই।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।