
আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জনাব মোঃ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য, শেরপুর -১ মহোদয়ের সহিত শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলী হোসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং লোডশেডিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শেরপুর জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্যারকে অবহিত করি এবং শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এ ৯,৬৬৫ টি সেচ গ্রাহক রয়েছে যার চাহিদা প্রায় ৪০ মেগাওয়াট মর্মে জানাই। অননুমোদিত অটোরিকশা/ইজিবাইক এর ব্যাটারি চার্জ ও সেচ কাজে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার রোধে সহায়তা কামনা করি।
গ্যাস সংকট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কম থাকায় এবং জামালপুর এ একটি উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এবং সর্বোপরি বৈশ্বির কারণে শেরপুর গ্রীডে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় ও লো ভোল্টেজ জনিত কারণে শেরপুর পবিস এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে মর্মে জানাই, এতে বোরোধান চাষে সেচ কাজ ব্যহত হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে বিধায় এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রধান প্রকৌশলী ময়মনসিংহ অঞ্চল বিউবো এবং সদস্য (বিতরন), বিউবো মহোদয়কে ফোন করে সেচ গ্রাহকদের কৃষি উৎপাদন এর স্বার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ২০ মেগাওয়াট বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। সদস্য (বিতরন) বিউবো মহোদয় লোড বৃদ্দির আশ্বাস প্রদান করেন এবং প্রধান প্রকৌশলী ময়মনসিংহ জোন বিউবো মহোদয় ৫ মেগাওয়াট শেরপুর পবিসকে প্রদানের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী বিউবো শেরপুরকে নির্দেশ প্রদান করেন।
সার্বিক বিষয় এ স্যার এর সহায়তা কামনা করি। তিনি সকল বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং প্রাপ্ত লোড সেচ গ্রাহকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমহারে বিতরনের জন্য অনুরোধ করেন।
আমি মাননীয় হুইপ স্যারকে ধন্যবাদ জানাই এবং শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করি।
এ সময় সমিতি বোর্ডের সভাপতি, এজিএম (এমএস), নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী বিউবো, শেরপুর, সহকারী প্রকৌশলী বিউবো এবং স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।