দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা তিন দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে কলমবিরতি পালন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শেরপুর শহরের চকপাঠক এলাকার উপপরিচালকের (খামারবাড়ি) কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টাব্যাপী এই কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ছয় দিন পার হলেও অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এ কারণে অনেক কৃষি কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ কৃষি বিভাগ থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দেশের সব জেলা ও উপজেলায় একযোগে এই কলমবিরতি পালন করা হয়। আগামীকাল ১২ নভেম্বর বুধবার অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন মেহেদীকে মারধর করেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তাঁর সহযোগী ফজলুর রহমান (৩২)। ঘটনার দিন রাতে কৃষি কর্মকর্তা মোরসালিন মেহেদী বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুরকে আসামি করে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ৬ নভেম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।







