
নকলা প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকল বৈধ আবেদনকারীর মধ্যে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের জন্য মোট ২৪ জনকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের লক্ষ্যে কোনো ধরনের তদবির ছাড়াই সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম-এঁর তত্বাবধানে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে এসব ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলার গনপদ্দী, উরফা, পাঠাকাটা, টালকী, চরঅষ্টধর ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জন্য ৩ জন করে এবং নকলা, গৌড়দ্বার ও বানেশ্বরদী ইউনিয়নের জন্য ২ জন করে ডিলার নিয়োগ করা হয়।
এদিকে, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপন উপলক্ষে উপজেলায় স্থাপিত ২০টি পূজামন্ডপের প্রতিটি মন্ডপের অনুকূলে ৫০০ কে.জি করে মোট ১০ মেট্রিকটন সরকারি আনুদানের (জি.আর) চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় চাল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে চাল বরাদ্দের আদেশপত্র তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এছাড়া বিকেলে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায়দের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
লটারি ও উভয় বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালীন মেহেদী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, পরিসংখ্যান তদন্তকারী জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন সস্তরের নেতৃবৃন্দ, ডিলারের আবেদনকারীগন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহবায়ক দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর ও সদস্য সচিব আশীষ কুমার সাহা, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর সারোয়ার জাহান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম, নকলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী উত্তম কুমার বণিক, সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার বনিকসহ অন্যান্য পূজামন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।