
র্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্প কর্তৃক ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার।বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উৎঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব-পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
২। ভিকটিম একজন নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। ভিকটিমের বাবা একজন প্রবাসী এবং মা মানসিক প্রতিবন্ধি, সেইসুবাদে তার বড় চাচা বাদী মোঃ বাদশা মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত আশরাফ আলী, সাং-পশ্চিম টালকী, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর ভিকটিম এর দেখাশুনাসহ লেখাপড়া করাতেন। ভিকটিম স্কুলে যাতায়াতের পথে বিবাদী মোঃ রানা মিয়া @ অন্তর (৩৫), পিতা-মৃত রইছ উদ্দিন, সাং-পাঠাকাটা পূর্ব, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর অনেকদিন হতে ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। ভিকটিম বিষয়টি তার চাচাকে (বাদী) জানালে সে বিবাদীর অভিভাকদের নিকট বিষয়টি জানায়। কিন্তু অভিভাবকগণ উহা কর্ণপাত না করিয়া বিবাদীকে আরও উৎসাহিত করে।
গত ০৭/০২/২০১৬ ইং তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটি শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে স্কুলের উত্তরে ফাঁকা জায়গায় পৌছা মাত্রই উৎপাতিয়া থাকা বিবাদীসহ অজ্ঞাত অরো ২/৩ জন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে জোর পূর্বক সিএনজিতে করে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী নকলা থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে অফিসার-ইন-চার্জ, নকলা থানার মামলা নং-০৪, তারিখঃ ১৩/০৩/২০১৬ ইং, ধারা-৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ সংশোধনী/০৩) রুজু করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর মহোদয় গত ২৩/০৯/২০২০ খ্রিস্টাব্দে আসামী মোঃ রানা মিয়া @ অন্তর (৩৫) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান হওয়ায় আসামীকে ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম এবং ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলার ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ রানা মিয়া @ অন্তর ৭ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল।
বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা এর উপস্থিতিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ইং ২৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখ অনুমান ২২:১০ ঘটিকায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন তেপির বাড়ী বাজার হতে আসামী মোঃ রানা মিয়া @ অন্তর (৩৫)কে আটক করে। ধৃত আসামীকে সূত্রোক্ত মামলায় শেরপুর জেলায় নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।