শেরপুরে কানাডাপ্রবাসী এক রেমিটেন্স যোদ্ধার ২৫ শতক জমি বেদখলের প্রতিবাদে এবং তা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কানাডাপ্রবাসী মুহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান শহরের কসবা এলাকার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশরাফ উজ্জামান বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার কানাডায় বসবাস করে আসছেন। তিনি ২০১০ সালে পৃথক দুটি দাগে ১৭ ও ১৮ শতকসহ মোট ৩৫ শতক জমি তাঁর নানার বাড়ির ওয়ারিশদের কাছ থেকে সাবকবলা মূলে ক্রয় করেন। এরপর থেকেই তিনি সেসব জমির সকল প্রকার কর-খাজনা পরিশোধ করে আসছেন।
কিন্তু তিনি (আশরাফ উজ্জামান) ও তাঁর সকল আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে থাকার কারণে ওই জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। এমন অবস্থার প্রেক্ষাপটে শহরের কসবা কাঠগড় এলাকার বাসিন্দা ইকরামউদদৌলা সেলিম ও জাহাঙ্গীর আলম ১৭ শতক জমি এবং একই এলাকার মো. ইলিয়াস আলী ১৮ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমি বেদখল দিয়ে সীমানা প্রাচীর নিরমাণ ও ঘরবাড়ি তৈরি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ উজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রায় দুই মাস আগে তিনি দেশে ফিরে এসে দেখেন যে, তাঁর ৩৫ শতক জমির মধ্যে ২৫ শতক জমি বেদখল হয়ে গেছে। পরে তিনি এ বিষয়ে নানা আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। সেই সাথে তিনি বেদখলদারদের হুমকি-ধমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।হুমকির বিষয়ে তিনি গত ২১ এপ্রিল রোববার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। একজন প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে তাঁর বেদখল করা জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি ।
সংবাদ সম্মেলনে করা আশরাফ উজ্জামানের অভিযোগ অস্বীকার করে কসবা কাঠগড় এলাকার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস আলী বলেন, তিনি কারও কোনো জমি দখল করেননি। তিনি (ইলিয়াছ) তাঁর ক্রয়কৃত জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। আশরাফ উজ্জামানকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা, কারণ তাঁকে চিনেন না তিনি।
কসবাকাঠগড় এলাকার আরেক বাসিন্দা ইকরামউদদৌলা সেলিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আশরাফ উজ্জামানের কোন জমি তিনি বেদখল করেননি। তাঁর (আশরাফ উজ্জামান) নানার বিভিন্ন ওয়ারিশদের নিকট থেকে ১৯৮৮ সালে জমি কিনে সেখানে বাড়ি করে বসবাস করছেন।আশরাফ উজ্জামান তাঁকেসহ (ইকরামউদদৌলা সেলিম) এলাকার অনেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে দাবি করেন তিনি।









ভালো প্রতিবেদন।