
দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শেরপুরে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রতিটি মণ্ডপে ঘট স্থাপনের মাধ্যমে ষষ্ঠী পূজার কল্পারম্ভাদি করা হয়। পরে দেবীর বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গাপূজা শুরু হয়। এ সময় প্রতিটি মণ্ডপে বিপুলসংখ্যক হিন্দুপূণ্যার্থী বিশেষ প্রার্থনায় অংশ গ্রহণ করেন।
চলতি বছর জেলার ১৫৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭২, নালিতাবাড়ীতে ৩৬, নকলায় ১৯, ঝিনাইগাতীতে ১৮ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১২টি মণ্ডপ রয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপ দৃষ্টিনন্দন আলোকমালায় সাজানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে দেবীর বর্ণাঢ্য আগমনী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের গোপালজিউর মন্দির প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান। শোভাযাত্রাটি গোপালজিউর মন্দির থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় এখানে এসে শেষ হয়। এতে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম, পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহাসহ বিপুলসংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
পরে পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সহস্রাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বলেন, দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি র্যা ব সদস্যরাও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সবাইকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।