খাদ্যে উদ্বৃত্ত শেরপুর জেলায় রোপা আমন ও সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), শেরপুর কার্যালয় সোমবার দুপুরে শহরের চকপাঠক এলাকার খামারবাড়ি চত্বরে এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএই, শেরপুরের উপপরিচালক সুকল্প দাস।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জামালপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মঞ্জুরুল কাদির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শোয়েব আহমেদ, মো. হুমায়ুন কবীর, শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাদিকুল হাসান, সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই, কৃষক ফজলুল হক প্রমুখ।
কর্মশালায় ডিএইর উপপরিচালক সুকল্প দাস বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। এজন্য ক্রমান্বয়ে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। এই বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন। একইসঙ্গে রোপা আমন, বোরো ধান, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজির উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদে ও সরিষার উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ, সার, কৃষিযন্ত্রসহ নানা ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছেন। এতে করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কিষান-কিষাণি অংশ গ্রহণ করেন।








