
শেরপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. সারোয়ার জাহান রানা মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সারোয়ার শেরপুরের নকলা উপজেলার বাদাগৈড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার পুলিশ নকলার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর সদর উপজেলার পূর্ব আলিনাপাড়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মো. ছায়েদুর রহমান বাদী হয়ে গ্রেপ্তার সারোয়ার জাহান রানা মিয়া ও তাঁর দুই ভাই মো. মনির এবং মো. শাউন মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাত করত. প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করার অভিযোগে গত ১৮ আগস্ট সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সারোয়ার জাহান রানা মিয় কে গ্রেপ্তার করে। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন যে, আসামিরা তাঁর পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাদে ১ নম্বর আসামি সারোয়ার জাহান রানা মিয়া বলেন যে, ইতিপূর্বে সে বিভিন্ন লোকজনকে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছে। তখন বাদী ছায়েদুর তাঁর বাগিনা মো. সৃজন মিয়াকে সিবিএমসি, ময়মনসিংহে ভার্ত করার জন্য বলিলে গত ১০ আগস্ট শেরপুর সদর থানাধীন মুন্সিবাজার সাকিনের নাজমিন জুয়েলার্স নামক দোকানের ভিতরে ১৬ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে সারোয়ার জাহান রানা মিয়া বিভিন্নভাবে পর্যায়ক্রমে সর্বমোট ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু আাসমি সারোয়ার জাহান বাদী ছায়েদুর রহমানের ভাগিনাকে উক্ত সিবিএমসিতে ভর্তি করিতে না পারিয়া বাদীকে উক্ত টাকা ফেরত প্রদান করিবে বলে দেই-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে। বাদী ছায়েদুর আসামি সারোয়ার জাহানের নিকট টাকা ফেরত চাইলে আসামি ও তাঁর বাইয়েরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং টাকা প্রদানের কথা সাফ অস্বীকার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বছির আহমেদ বাদল বলেন, পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত ও মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে।