
শ্রীবরদী প্রতিনিধি:শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের এলাকা গুলোর মধ্যে হালুয়া হাটি, বালিজুরী, অফিসপাড়া, খ্রিস্টানপাড়া সহ সিমান্তে বসবাস করা সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশি গরু লালন পালন। আবার অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে, পেয়েছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই, সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালুয়া হাটি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিটা ঘরে ঘরে বিশ থেকে পঁচিশ টি করে দেশি জাতের গরু লালন পালন করতে দেখা গেছে, সেখানে বসবাস করা লোকজন আমাদের জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমরা গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছি, গরু আমরা সকালে পাহাড়ের ছেড়ে দেই, সারাদিন পাহাড়ের কচি ঘাস,পাতা,লতা পাতা খাই, তার পর বিকালে গরু বাড়িতে নিয়ে আসি, এতে আমাদের কোনো ধরনের বাড়তি টাকা খরচ করতে হয় না,যা বিক্রি করি সবটুকু লাভ হয়, আরো বলেন, আমাদের গরুর মাংসতে ও কোনো ধরনের ভেজাল নেই, বছরে এক থেকে তিন লাখ টাকা করে গরু বিক্রি করি,এতে করে আমরা লাভবান হয়।
মোঃ আলমাছ বলেন, গরু দিয়ে আমার পরিবার এবং আমার সংসার চলে এই গরু আমাদের আয়ের প্রধান উৎস, আমার মতো আশেপাশের এলাকায় মানুষ এই গরু উপর সংসার চলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সিমান্তে বসবাস করা নিম্ন আয়ের মানুষের বড় শক্তি এই গরু প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছে এই দেশি গরু,এতে গরু পালনে কোনো ধরনের খরচ নেন, এইজন্য, এর চাহিদা দিন দিন বারছে, এছাড়া ভালো লাভ হয় এই গরু পালন করে, ভবিষ্যতে আরো চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছে সেইখানে বসবাস করা স্থানীয় লোকজন।