দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি
শেরপুরে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শেরপুর জেলার সদর এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্থাপিত বিভিন্ন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাগত সরকার বর্ণ এবং কাজী রিজওয়ানুল হক। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস। উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম ও অত্র কার্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, শেরপুর জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর প্রতিনিধি এবং শেরপুর পুলিশ লাইন্স এর সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহায়তা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিম্নলিখিত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১। মেসার্স আশিকা ব্রিকস;
মনকান্দা, তাতালপুর, শেরপুর সদর, শেরপুর। গৃহীত ব্যবস্থাঃ ৩০০০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করাসহ ইটভাটাতে তৈরিকৃত কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে এবং ইটভাটাটির সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২। মেসার্স মেসার্স এইচ এ বি জিগজ্যাগ ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স;
মির্জাপুর, শেরপুর সদর, শেরপুর। গৃহীত ব্যবস্থাঃ ৩০০০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করাসহ ইটভাটাতে তৈরিকৃত কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে এবং ইটভাটাটির সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
৩। মেসার্স বিপি ব্রিকস;
চেঙ্গুরিয়া, কাটাখালী ব্রীজ, ঝিনাইগাতী, শেরপুর।
গৃহীত ব্যবস্থাঃ ৩০০০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করাসহ ইটভাটাতে তৈরিকৃত কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে এবং ইটভাটাটির সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।





