
পিআর পদ্ধতিতে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না বাংলাদেশের মানুষ সরাসরি প্রার্থীকে দেখে,মার্কা দেখে ভোট দিবে। শুক্রবার বিকালে শেরপুর শহরের মাধবপুর স্বপ্নীল পার্টি সেন্টারে শেরপুর জেলা জাসাসের আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহা সচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। গত ১৬ বছর তারা নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখেছে, ভোট দিতে পারেনি। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের এই নির্বাচন সফল করতে হবে। কিন্তু জামাতসহ কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
” গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান দু:শাসনের হবেই অবসান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস শেরপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা চৌধুরী বেবি।
জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহ মো: বিল্লাল হোসেন ও জামালপুর জেলা জাসাসের সভাপতি রেজভী আল জামালী রনজু এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.ওয়ারেজ আলী মামুন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো: লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস ফকির, ইঞ্জিনিয়ার মো: জাকির হোসেন, সদস্য এটিএম আশরাফ হোসেন শাহীন, ছামছুল হোসাইন, জেলা বিএনপির যগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ভিপি, জেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এনামুল হক বিপুসহ জাসাসের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
কর্মী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত গান পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।