
দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীর। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম। শেরপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা খাদ্য বিভাগ এই সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। স্বাধীনতার পর এবারই দেশে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ ধান-চাল মজুত রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন গুদামে ২২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল মজুত আছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ কৃষকেরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য সরকার প্রতিবছর খাদ্য মজুত রাখে। গত ১৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয় মাসব্যাপী। সারা দেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫ লাখ কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন। শেরপুরে কার্ডধারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন পাঠালে তা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
মতবিনিময় সভার সভাপতি ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান জেলায় চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের চলমান কার্যক্রম আরো শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুরের জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়া, শেরপুরের পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সুধীজন অংশ গ্রহণ করেন।