
দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শেরপুরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার শেরপুর জেলা পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করা হয়।
শনিবার দুপুরে শেরপুর শহরের গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় এখানে এসে শেষ হয়। এতে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিশু-কিশোরেরা রাধা-কৃষ্ণ সেজে অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়েদুল আলম, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. হযরত আলী, সদস্যসচিব এ বি এম মামুনুর রশীদ পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আবু রায়হান রূপন, জেলা পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহবায়ক জীতেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার, সদস্যসচিব সুব্রত কুমার দে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র সাহাসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাশেষে গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহবায়ক জীতেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার। এতে সদর থানার ওসি জুবায়েদুল আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আবু রায়হান রূপন, জেলা পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের যুগ্ম আহবায়ক প্রদীপ রঞ্জন দে, কমল চক্রবর্ত্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব সুব্রত চন্দ্র দে।
সভায় বক্তারা বলেন, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে পৃথিবীতে আগমন করেন। তিনি ছিলেন ন্যায়, সত্য ও নৈতিকতার প্রতীক। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আমাদের অন্যায়, অরাজকতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগায়। সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় তাঁর বাণী আজও প্রাসঙ্গিক।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত বসবাসের ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য রক্ষা ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার মাধ্যমে আমরা একটি মানবিক, সহনশীল ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারি।
এদিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল শেরপুর জেলাসহ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অপরদিকে শহরের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা-অর্চনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সেইসঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ উপবাস ব্রত পালন করেন।