
নিজস্ব প্রতিবেদক : “আমি আপনাদের নেত্রী হিসেবে নয়, সন্তান হিসেবে কাজ করবো। সন্তানরা যেমন বাবা-মাকে ভালোবাসে, আমি তার চেয়েও বেশি ভালোবাসার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।” — একথা বলেছেন শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, শেরপুর-১ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়ংকা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মীসভাটি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডা. প্রিয়ংকা আরও বলেন, “দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের কর্মসংস্থান, দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো। এত সরকার এসেছে, এমপি হয়েছে — কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে বিগত দিনের মন্ত্রী-এমপিদের।”
সভায় জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. হযরত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ.বি.এম মামুনুর রশিদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ সময় পর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পতন হয়েছে । এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে দলের জনপ্রিয়, তৃণমূলের আস্থাভাজন নেতাদের মনোনয়ন দিলে বিজয় সম্ভব হবে।”
তারা আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,“তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে দলের মূল চালিকাশক্তি। তৃণমূলের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।”
কর্মীসভায় সদর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নারী-পুরুষ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।