
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারণার লক্ষ্যে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জুন শুক্রবার বিকেলে শহরের রঘুনাথবাজারস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদ্যঘোষিত জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদ। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু রায়হান রূপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ও আকরামুজ্জামান রাহাত এবং আহবায়ক কমিটির পদবঞ্চিতদের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল হাসান মুকুল প্রমুখ।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মুখলেসুর রহমান জীবন, সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মানিক, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাসেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ক্রিসেন্ট, বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম শিপন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতেন্দ্র মজুমদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিদারুজ্জামান সিদ্দিকসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে নব্বই দশকের ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে পরীক্ষিতদের বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সাথে দলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাদের আহবায়ক কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য জোরালো আহবান জানান। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ জুন কেন্দ্র ঘোষিত শেরপুর জেলা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে গত ১৭ বছর জেল-জুলুম খাটা বঞ্চিত অনেক নেতাদের স্থান হয়নি। কমিটিতে বেশ কয়েকজনের নাম আছে, যারা কখনো আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না। কিংবা রাজনৈতিক মামলাতেও তাদের নাম নেই।
এ র্যালি ও সমাবেশে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এর আগে তীব্র রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এ সমাবেশ-র্যালিটি তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রচারণাকে ঘিরে হলেও তা রূপ নেয় পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ প্রকাশের সমাবেশ হিসেবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস কমিটিবিহীন থাকার পর অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক ও মামুনুর রশীদ পলাশকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এরপর গত ১১ জুন নবঘোষিত আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে আনন্দ মিছিল করা হয়।