
শেরপুরে সুদের টাকার জন্য নির্যাতনের শিকার যুবক মো. সাইফুল ইসলামকে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চকআন্ধারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সাইফুলের হাতে এই টাকা তুলে দেন। সাইফুল ওই গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
টাকা প্রদানকালে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. খাবির উদ্দিন, অনলাইন নিউজ পোরটাল শেরপুরের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আমিনুল ইসলাম রাজুসহ সাইফুলের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সদরের ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার দাদন ব্যবসায়ীদের হাতে সাইফুল ইসলামকে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ডিসি স্যারের নির্দেশনানুযায়ী সাইফুল ইসলামকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে সাইফুল ইসলাম চকআন্ধারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে সুদ প্রদানের শর্তে ৬ হাজার টাকা ঋণ নেন। গত রোববার সাইফুল দাদন ব্যবসায়ী মালেককে ঋণের ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেন। এ সময় মালেক ঋণের সুদ বাবদ সাইফুলের কাছে আরো ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু সাইফুল সুদের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মালেক, মনির ও জুয়েল তাঁকে (সাইফুল) ঘরে আটকে রেখে প্রথমে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে তাঁরা সাইফুলকে কয়েক ঘণ্টা একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। এতে সাইফুল গুরুতর আহত হন। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার নির্যাতনের শিকার সাইফুলের ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।