
দেবাশীষ শাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি:
গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া এলাকার একটি ধান খেত থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. আব্দুল লতিফের (৪৭) গলায় রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে সদর থানার পুলিশ। নিহত লতিফ বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী কাটাজান গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। পুলিশ ধারণা করছে, গত রোববার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা আব্দুল লতিফকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে লতিফের পরিবারে চলছে স্বজনদের আহাজারি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমরী কাটাজান গ্রামে নিহত লতিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লতিফের পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করছেন। কয়েকজন নারী লতিফের স্ত্রী সূর্যবানুকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়ির অদূরে লাতিফের কবর জিয়ারত করছেন।
এ সময় নিহত অটোচালক লতিফের স্ত্রী সূর্যবানু বলেন, ‘আমার স্বামীকে যারা মারছে, আমি তাগরে বিচার ও ফাঁসি চাই। সেইসঙ্গে ছোট ছোট পোলাপান নিয়া আমার সংসার চালানোর জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চাই।’
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান আব্দুল লতিফ যুবক বয়স থেকেই রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ছয় সদস্যের এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন অটোচালক লতিফ। কিন্তু লতিফের অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়েদুল আলম বলেন, অটোচালক লতিফ হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।