
প্রতিবেদন দেবাশীষ সাহা রায়:
শেরপুরে চাঁদরাতে ঈদের বাজার এখন জমজমাট। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। বাহারি নাম ও ডিজাইনের নারীদের পোশাক থ্রি-পিসের প্রতিই সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ তরুণীদের। ঈদের কেনাকাটায় জেলা শহরের সব বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোয় এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে সামনে রেখে শহর আর গ্রামাঞ্চলের মানুষের পদচারণায় পুরো শহর এখন উৎসবমুখর।
আজ রোববার রাতে শহরের রঘুনাথ বাজার, মুন্সিবাজার, নিউমার্কেট ও শহীদ বুলবুল সড়ক এলাকায় অবস্থিত তৈরি পোশাকের দোকান এবং নয়আনী বাজার এলাকায় অবস্থিত কাপড় ও জুতার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ক্রেতা শেষ মূর্হতে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা ঈদ উপলক্ষে আসা পোশাক দেখছেন। বিপণিবিতানগুলোয় নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। সামর্থের মধ্যে পছন্দের জামা, কাপড়, শাড়ি, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনে ঈদ উদযাপন করার জন্য খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন সবাই।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদের কেনাকাটায় নারীরা পছন্দের পোশাক হিসেবে থ্রি-পিসকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও দেশে তৈরি থ্রি-পিসগুলোর নামও দেওয়া হয়েছে বাহারি রকমের। আগানূর, নাতারা, সুষ্মিতা, সিল্ক থ্রি-পিস, হাফ সিল্ক, সামু সিল্ক, আঞ্জারা, অর্গাঞ্জা, দিল্লী বুটিকস, লেহেঙ্গা, পার্টিফ্রগ, ডিভাইডার নামের থ্রি-পিসগুলো বেশি বিক্রি হয়েছে। এসব নামের থ্রি-পিসের প্রতি তরুণীদের আগ্রহ অনেক বেশী। এছাড়া তানামানা, অর্গাঞ্জা, বুটিকস সিল্ক, কাথান, কাঞ্জিভরণ, বেনারসি, সফট কাথান, ঢাকাইয়া জামদানি, ভারতীয় জামদানি ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িও বিক্রি হচ্ছে বেশ। আজ
রোববার রাতে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকার সম্পদ প্লাজায় অবস্থিত আরশ ওয়্যারে কেনাকাটা করতে আসা শিংপাড়া এলাকার গৃহবধূ নাহিদা আক্তার বিথী বলেন, ঈদ উপলক্ষে মেয়ে ও নিজের জন্য থ্রি-পিস কিনেছেন। থ্রি-পিস পড়ে সহজেই চলাফেরা করা যায়। তাই থ্রি-পিসকেই তাঁরা প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এ সময় শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে জান্নাতুল কেয়া বলেন, তাঁর প্রিয় পোশাক থ্রি-পিস। তাই ঈদ উপলক্ষে পছন্দের থ্রি-পিস কিনেছেন।
শহরের নয়আনী বাজার এলাকার অভিজাত বস্ত্র বিপণী পরিমল বস্ত্রালয়ে মা মিনারা বেগমের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছেন ঝিনাইগাতী আদর্শ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম জান্নাত কনা। এসময় তিনি বলেন, এবারের ঈদবাজারে প্রায় সব দোকানেই পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। দামও অনেকটা সহনীয়।
আরশ ওয়্যারের স্বত্বাধিকারী নাহিদুল হাসান বলেন, ঈদ উপলক্ষে তাঁরা আধুনিক ও বাহারি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন এবং সহনীয় দামে তা বিক্রি করছেন। তবে নারী ক্রেতাদের থ্রি-পিসের প্রতি বেশি আগ্রহ বলে জানান তিনি।
অপরদিকে পরিমল বস্ত্রালয়ের মালিক বাবলু সাহা বলেন, ঈদের বেচাকেনা বেশ ভালো। বিশেষ করে নারীদের পোশাক হিসেবে থ্রি-পিসের সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-পিস এবং ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ভালো শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।