
বিশেষ প্রতিনিধি :
শেরপুরে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রঘুনাথ বাজার থানা মোড় এলাকার একটি হোটেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় যুব ফোরাম ও নাগরিক ফ্লাটফর্ম, শেরপুর এই সংলাপের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার বলাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নাগরিক ফ্লাটফরমের সদস্য মো. আবু হান্নান।
সংলাপে নাগরিক ফ্লাটফর্ম, শেরপুরের আহবায়ক আবুল হাশিম, ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, বানেশ্বরদী ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার, বাজিতখিলা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল্রাহ আল হাসান, নালিতাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর মো. জহুরুল হক, রূপনারায়ণকুড়া ইউপির সদস্য মো. হযরত আলী, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন রূপান্তরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, শেরপুর ব্রাহ্মণ সমাজের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্ত্তী, কলেজ শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম, মো. রাসেল, হাফেজ মো. সাইদুল ইসলাম, সাংবাদিক দেবাশীষ সাহা রায়, হাকিম বাবুল, আস্থা প্রকল্পের ক্লাস্টার কোঅর্ডিনেটর খালেদ এহতেশাম, নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য বিপ্লব দে, শুভজিৎ নিয়োগী, যুব ফোরামের সদস্য জিনিয়া আক্তার, রবিউল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরের সময়ে দেশের মানুষের ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। রাজনীতিবিদসহ প্রতিটি সরকারি দপ্তর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও রাজনীতিকরা তাঁদের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছিলেন। এসব কারণে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথ্থানে বিগত সরকারের পতন হয়েছে। এখন রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে। ক্ষমতায় গিয়ে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন স্বৈরাচার হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। সেইসঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা করা গেলে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
সংলাপে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।