
`বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনা মূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে আদালত চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যা লি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তৌফিক আজিজের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যা লিতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীর, ল্যান্ড সারভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মাহবুব আলী মুয়াদ, জেরা লিগ্যাল এইড করমকরতা মো. গোলাম মাহবুব খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, জিপি এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মুন্নাসহ অন্যান্য বিচারক ও লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা অংশ নেন।
র্যা লি শেষে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে জাতীয় লিগ্যাল এইড দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব খান। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবী হিসেবে এ্যাডভোকেট হরিদাস সাহার হাতে সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সূত্র জানায়, ২৮ এপ্রিল ২০২২ থেকে গত এক বছরে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে মামলা ও বিকল্প পদ্ধতিতে নিস্পত্তির (এডিআর) জন্য মোট আবেদন পড়েছে ৯৫৪টি। এর মধ্যে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ৮৬টি, বিকল্প পদ্ধতিতে সফল নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৭৫টি। নথিজাত হয়েছে ২৬৬টি, অপেক্ষমান রয়েছে ২২৭টি। এছাড়া পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে ১২০৩ জনকে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির ফলে বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা ১৮৩। এডিআরের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ টাকা পক্ষগণকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।