
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলা উপজেলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। ৪ জুন মঙ্গলবার রাতে নকলা পৌরসভার কায়দা বাজারদী গোরস্থান ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে প্রয়াত অভিনেত্রীকে ওই গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় নকলা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম মাহবুবুল আলম সোহাগ, সীমানার বাবা সেকান্দর আলী, স্বামী পারভেজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। এর আগে সন্ধ্যায় একটি ফ্রিজিং লাশবাহী গাড়িতে সীমানার মরদেহ উপজেলার কায়দা বাজারদী এলাকার বাবার বাড়িতে এসে পৌঁছালে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রয়াত অভিনেত্রী সীমানা নকলা পৌরসভার কায়দা বাজারদী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সেকান্দার আলীর মেয়ে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সীমানা সবার বড় ছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই শিশু ছেলে রেখে গেছেন।
প্রয়াত অভিনেত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই সীমানা নকলা ললিতকলা একাডেমী, খেলাঘর, কোর্টফিল্ড, কমল ওস্তাদজী, শিল্পকলা একাডেমিতে অভিনয় চর্চা করতেন। পরবর্তীতে বিটিভিতে অভিনয়ের কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা।
সীমানা নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করতেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। ‘রোশনী’ নামের একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সীমানার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে সাকিন সারিসুরি, কলেজ স্টুডেন্ট।
অভিনেত্রী সীমানার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।