
শেরপুরের নকলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাসলিমা খাতুনকে (৩৮) ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যা বের জামালপুর ও চট্টগ্রামের সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত তাসলিমা খাতুন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
র্যা ব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যা ব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে বিগত ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরদুইদিন পর জলিলের শিশু কন্যা আকলিমা খাতুন (০৪) কে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাছলিমা জলিলের কাছে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি নকলা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত আকলিমাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে নকলা থানায় তাসলিমাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল। এ ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা পালিয়ে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে উক্ত মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি তাসলিমা খাতুনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ০৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ০৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। দীরঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন তাসলিমা।