
দেবাশীষ সাহা রায়, বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যহাতির তান্ডবে চলতি আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে একদল বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চূড়ার ঝোরাপাড়া গ্রামে প্রবেশ করে প্রায় ৫ একর আমন ধানের ফসল নষ্ট করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বন বিভাগ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ৩০/৩২টি বন্যহাতির একটি দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। এসময় বন্যহাতির দল স্থানীয় পশ্চিম সমশ্চূড়া গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, মো: সাইদ মিয়া, শামসুন্নাহার, জুলেখা বেগম, মো: আবু বকর সহ ১৪ /১৫ কৃষকের প্রায় ৫ একর জমির আমন ধানের ফসল পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে। এতে আমন থোড় ধানগাছ একদম মাটির নিচে চাপা পড়েছে। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন এই ধান ফসল হারিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন এই গ্রামের কৃষকেরা।
শমশচূরা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে বন্যহাতির দল এসে তার প্রায় ২ একর আমন ধানের ফসল নষ্ট করেছে। প্রতি মৌসুমেই হাতির পাল আসে এবং ধানের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান তিনি।
ওই গ্রামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত কিষাণি জুলেখা বেগম বলেন, ঋণ-ধার করে পৌনে ২ একর জমি আবাদ করেছিলেন। হাতির দল সব ধান নষ্ট করে ফেলেছে।এখন তিন সন্তান নিয়ে কীভাবে সংসার চালাবেন। তিনিও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানান।
বন বিভাগ, মধুটিলা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মো: দেওয়ান আলী বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত পরিদর্শন করেছি। কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করেছি। প্রায় ১৪/১৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁরা আবেদন করলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।