
হারুন অর রশিদ দুদু :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী গ্রামে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের শতবর্ষী ফলের বাগান দখল ও উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ১৭ আগস্ট ২০২৫ রবিবার সকাল ১১টায় বড় গজনী স্কুল মাঠে বৃহত্তর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর জেলার আদিবাসী ছাত্র-জনতার আয়োজনে গাজনী ব্যাপ্তিস্ট চার্চের সভাপতি পা. যোনাথন বনোয়ারির সভাপতিত্বে ও গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতীর্থ চিরানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এনসিপি (উত্তরাঞ্চল) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অলিক মৃ, বাবলাকোনা জিবিসি বিভাগের সভাপতি পাস্টার সংকর নকরেক, বাগাছাস ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রুবেন নকরেক, জিবিসি বিভাগীয় ওমেন সোসাইটির সম্পাদিকা সূচিত্রা সাংমা, কোচ সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ কোচ, গাজনী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আন্দ্রীয় ম্রং, নকশী গ্রাম্য প্রতিনিধি হিটলার কোচ, ছোট গাজনী গ্রাম কাউন্সিলের সেক্রেটারি পিলিসন কুবি। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১১ আগস্ট বন বিভাগ বাগানটি দখল ও উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়; স্থানীয়রা শান্তিপূর্ণভাবে বাধা দিলে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গারো সম্প্রদায়সহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা বলেন, “ব্যাপ্তিস্ট চার্চের শতবর্ষী ফলের বাগান শুধু একটি জমি নয়—এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতীক।” তাঁদের দাবি, বন বিভাগের দখল ও উচ্ছেদ প্রচেষ্টা বেআইনি, সংবিধানবিরোধী এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। তারা জানান, শতাধিক বছর ধরে এই বাগান গারো জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গণসমাবেশ থেকে অবিলম্বে দখল ও উচ্ছেদচেষ্টা বন্ধ, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের আইনের আওতায় আনা এবং ব্যাপ্টিস্ট চার্চের শতবর্ষী ফলের বাগানসহ গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানানো হয়। আয়োজকরা ঘোষণা দেন, দাবি মানা না হলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।