
শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কের মিনি চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি জবাই করে কয়েকজনে মিলে ভাগাভাগি করে খেয়ে ফেলার পর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে মৃত হরিণের চামড়া।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে বাদশা মিয়া (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। এরপর তার পুকুর থেকেই উদ্ধার করা হয় মৃত হরিণের চামড়া। মঙ্গলবার বাদশা মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হরিণ খাওয়ার ঘটনায় বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে হরিণ চুরির পর জবাই করে মাংস ভাগাভাগির ঘটনায় সাত থেকে আট জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধুটিলা ইকোপার্কের মিনি চিড়িয়াখানার ভেতরে দুইটি হরিণ ছিল। কিছুদিন আগে পার্কের ভেতরেই একটি হরিণের মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যায় । তখন ধারণা করা হয়েছিল ওই হরিণটি শেয়াল খেয়েছে।
কিন্তু সোমবারের ঘটনার পর বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় তদন্তে নামেন তারা। এর পরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, চিড়িয়াখানায় থাকা একটিমাত্র চিত্রা হরিণটি গত রোববার রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে চুরি করে। এর পর জবাই করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়।
‘সোমবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে বন বিভাগের লোকজন তদন্তে নামেন এবং উপজেলার বাতকুচি বাজার থেকে বাদশা মিয়াকে আটক করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাদশা মিয়ার পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।