
ভারত সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় জনগণ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ERT) সদস্যদের নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বন বিভাগ-এর রাংটিয়া রেঞ্জের আয়োজনে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অবস্থিত বনরাণী ফরেস্ট রিসোর্ট চত্বরে এ সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ড. মো: সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, খাদ্যের সন্ধ্যানে হাতি লোকালয়ে নেমে আসে, হাতি দ্বারা কৃষকের যেকোন ফসলের ক্ষতি পূরণ সরকার দিবে, হাতির উপর আক্রমন করা যাবে না। গারো পাহাড়ে আর যেন হাতির দ্বারা কোন মানুষ মারা না যায় এবং বন্য হাতিও যেন আর মারা না যায়, তারজন্য আপনাদের সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বন অধিদপ্তরের, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম রাসেল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আল আমিন, শেরপুর জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মো: ছাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।
অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, ‘বন্য হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে চলতি বছর সচেতনতা কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় বন্যহাতির জন্য নিরাপদ অভায়শ্রম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সোলার ফেন্সিং প্রকল্পের মাধ্যমে এই দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থায়ী সমাধান নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্যদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যেন একটি হাতিও না মরে আবার কোনও মানুষেরও যেন ক্ষতি না হয়। গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে সচেতনতামূলক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাংটিয়া রেঞ্জ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক এসবি তানভীর আহমেদ ইমন, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সুমন মিয়া, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ERT) সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।