বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরের সদর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. ছামেদুল হক (৬৫) নামে এক কৃষক নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর উপজেলার যোগিনীমুরা নামাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছামেদুলের বাড়ি যোগিনীমুরা নামাপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় আহতেরা হলেন, নিহত ছামেদুল হকের ছেলে মো. পারভেজ (২৫), যোগিনীমুরা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৬০) ও ফজলুর রহমান (৫৮)। তাঁদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহত ছামেদুলের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক খন্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার যোগিনীমুরা নামাপাড়া গ্রামের ছামেদুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন মিয়া ও সিদ্দিক খলিফার বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে সিদ্দিক খলিফা ও তাঁর লোকজন কলাগাছ লাগাতে যান। এ সময় ছামেদুল হক বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন ছামেদুলের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে বেদম মারপিট করেন। এ সময় ছামেদুলের স্বজনেরা তাঁকে রক্ষা করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন পারভেজ, আব্দুল হামিদ ও ফজলুর রহমানকেও মারধর করেন। এতে ছামেদুল হকসহ ৪ জন গুরুতর আহত হন।
পরে এলাকার লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা আহসানুল মতিন সৈকত কৃষক ছামেদুল হককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে সিদ্দিক খলিফা ও হারুন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নিহত ছামেদুল হকের ছেলে মো. পারভেজ বলেন, সিদ্দিক খলিফা ও হারুন মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বেদম মারপিট করে তাঁর বাবাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার জন্য জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। তবে সিদ্দিক খলিফা ও হারুন মিয়া পলাতক থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম শনিবার বিকেলে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ময়নাতদন্তশেষে নিহতের লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।








