
শেরপুরে অটোরিকশা চালক শাহ আলম হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসাথে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার মোনালিশা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গতকাল রাতে ঝিনাইগাতীর বালিয়াচন্ডি পশ্চিম পাড়া থেকে খুনের সাথে জড়িত ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তার ইটহাটার শাহজাহান মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৯) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ছোট মালিঝিকান্দার আঃ রহিমের ছেলে রুপন (২০)।
পুলিশ জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার ধাতুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে শাহ আলম (৪১) ঢাকায় কাজ করতো। ২০/২৫ দিন আগে সে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসে ১৫দিন আগে কিস্তিতে একটি অটোরিকশা ক্রয় করে কুরুয়া এলাকায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। সে ৭ অক্টোবর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। ওইদিন রাত আটটার দিকে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ ও রূপন অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শাহ আলমে অটোতে উঠে কুচনিপাড়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করে শাহ আলমের মরদেহ রাস্তার পাশ্বে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানা গেছে, পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম এর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরামর্শে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া, ঝিনাইগাতী থানার এসআই রাজীব ভৌমিক,ফরিদ উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, দুলাল মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শরিফুর রহমান ,শ্রীবরদী থানার এসঅঅই আশিকুর রহমান হেলাল উদ্দিন সহ এলআইসি পুলিশ শেরপুরের সম্বনিত অভিযানে ঝিনাইগাতী উপজেলার বালিয়াচন্ডি পশ্চিমপাড়া গ্রামের নবীয়াল হোসেনের বাড়ী থেকে চুরিকৃত অটোটি উদ্ধার করা হয় এবং এলআইসি শাখার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সবুজ ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) মোঃ দিদারুল ইসলাম সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।