
স্বাধীনতার মাস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার আদলে বোরো ধান খেত তৈরি করেছেন শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা। শহরের নারায়ণপুর এলাকার এটিআইয়ের ফসলি জমিতে তৈরি করা এই চিত্রকল্প দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) সূত্রে জানা গেছে, ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনানুযায়ী চলতি বোরো মৌসুমে ইন্সটিটিউটের ১৫ একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ধান ও সবজি আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতক জমিতে উন্নত জাতের বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।
ওই জমিতে স্বাধীনতার মাস মার্চে এটিআইয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মাঠে সবুজ রঙের বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ ও হাইব্রিড ধান এবং বেগুনি রঙের দুলালী সুন্দরী (পার্পল রাইস) ধান দিয়ে জাতীয় পতাকার চিত্রকল্প তৈরি করে চমক সৃষ্টি করেছেন। জাতীয় পতাকার আদলে করা এ ধান খেত দেখতে এখন ভিড় করছেন আশপাশের মানুষজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, এটিআইয়ের বিস্তীর্ণ জমিতে বিভিন্ন ধরনের ধান ও সবজির আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান ও দুলালী সুন্দরী ধান দিয়ে তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন বোরো ধান খেতটি ব্যতিক্রম। এ খেতটি অনেকটা চতুর্ভুজ আকৃতির। চারপাশে চতুর্ভুজ আকৃতির সবুজ ধান খেত আর মাঝখানে বৃত্তাকৃতির বেগুনি রঙের ধানের আবাদ।বেগুনি আর সবুজে মিশেল এ খেতটি দেখতে জাতীয় পতাকার মতো।দূর থেকে মনে হয়, যেন খোলা আকাশের নিচে এক টুকরো বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত।
এ সময় এটিআইয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিজওয়ান হাসান বলেন, ‘আমরা আমাদের স্যারদের নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধু ধান ও দুলালী সুন্দরী ধান দিয়ে এ পতাকা তৈরি করেছি। আমরা এর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দেখতে আসছেন, আমাদের প্রশংসাও করছেন। এতে খুব ভালো লাগছে।’
শেরপুর শহরের ঢাকলহাটি এলাকার ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, এটিআইয়ের ছাত্ররা বোরো ধান দিয়ে সুন্দর একটি জাতীয় পতাকা তৈরি করেছেন। এ ধরনের ব্যতিক্রমী কাজ দেখে তাঁর খুব ভালো লেগেছে ও তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
এটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান বলেন, তাঁদের ছাত্র ও শিক্ষকেরা মিলে মহান স্বাধীনতার মাস উপলক্ষে ধান দিয়ে পতাকা তৈরি করেছেন। ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা, শিক্ষার্থীদেরকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং সৃজনশীল কাজে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।