রফিক মজিদ, শেরপুর: শেরপুরে বিভিন্ন দাবিতে নার্সেস এসোসিয়েশন ও মিডওয়াইফারি সোসাইটির যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সিনিয়র নার্স ও নার্সেস এসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি শরিফা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ৪৮ বৎসরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অগ্রগতির স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে ভিন্ন অধিদপ্তরে একিভূত করনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সারাদেশে আমরা এ মানববন্ধন করছি।
শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট এর ইন্সট্রাক্টর গুলসানারা খাতুন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে নার্সিং একটি সেবা পরিদপ্তর প্রতিষ্টান হয়। পরবর্তীতে উন্নীত হয়ে বর্তমানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর। জনকল্যানমূখী নার্সিং ব্যবস্থাপনা, নার্সিং শিক্ষা ও প্রশাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা ও বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বিগত ৪৮ বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এগিয়ে চলা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিভন্ন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার খবর ভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য সেক্টরে কর্মরত মোট জনবলের প্রায় অর্ধেক জনবল সম্বলিত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অধীন কর্মরত নার্স, মিডওয়াইফ ও নন-নার্সিং জনবলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়। অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৮ বৎসর এবং বর্তমান সরকারের ১ বৎসরে অধিক সময় অতিবাহিত হলেও নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম ও নার্সদের ক্যারিয়ার প্যাথ, জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ নার্সদের অন্যান্য দাবী-দাওয়া পূরন না করে এ ধরনের জনস্বার্থ বিরোধী ও নার্সদের স্বকীয়তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিরোধী সংবাদ প্রচার অত্যন্ত দুঃখজনক, আপিত্তকর ও পুরো নার্সিং সেক্টরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্টের উপকরন হিসাবেই সবাই মনে করছে। যা নার্সিং ব্যবস্থপনা সৃষ্টির চলমান কর্মকান্ডকে বাধ্যগ্রন্থ করার অপচেষ্টা মনে করছে।
এ সময় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এডিপিএইচএন শাহিনুর ইসলাম, নার্সিং সুপারভাইজার রশিদা আক্তার, ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ মাকসুদা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে শতাধিক নার্স ও মিডওয়াইফারি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।






