বিশেষ প্রতিনিধি :
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুসের বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখসহ যৌথ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ও বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।
১৪ জুন শনিবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারে এই মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ছফর উদ্দিন (ডিলো) ব্যাপারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ বি এম মামুনুর রশীদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (ভার্চুয়ালি), যুগ্ম আহ্বায়ক, সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাশেম আহমেদ সিদ্দিকী বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আহমেদসহ আরো অনেকে।
স্থানীয় জনসাধারণ দুই নেতার বৈঠকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, লন্ডনে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। আমরা সবাই খুশি হয়েছি।
সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, আমরা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখি করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা পথসভা গণসংযোগ ও ওঠান বৈঠক করছি।
যুগ্ম আহ্বায়ক ও সম্ভাব্য প্রার্থী ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ দুই নেতার বৈঠকে দেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ কেটে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগনের দল জনগণের সাথে আছে এবং থাকবে। দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছার জন্য তিনি আহ্বান জানান। একইসাথে দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বিভাজন বা গ্রুপিং করে দলের ক্ষতি না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করেন।
এদিকে এই দুই নেতার বক্তব্যে খুশি হয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। ফলবিক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব খুশি হয়েছি দুই নেতার মিটিং করার জন্য। হতদরিদ্র আনিস মিয়া বলেন, তারেক রহমান আর ইউনুস স্যার বইসা নির্বাচনের যে তারিখের কথা কইছেন, এতে আমরা খুশি হইছি। অটোরিকশা চালক রহিম মিয়া বলেন, আমরা লন্ডনের বৈঠকে খুব খুশি হয়েছি। নির্বাচন রোজার আগেই হবো শুইনা আমরা খুশি। এবার মনে হয় ভোট দিবার পামু।






