
২৯ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ বুধবার বিকেলে নারী ফুটবলের আঁতুড়ঘরখ্যাত ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফুটবল একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গণে কলসিন্দুর ফুটবল একাডেমির কোচ ও খুদে নারী ফুটবলারদের মাঝে ২৩টি বাইসাইকেল ও ৫০টি শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি নিউজ ও ভয়েস অফ আমেরিকার সাবেক সংবাদ পাঠক প্রবাসী বাংলাদেশী জনাব শামীম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফর ফুটবল শেরপুরের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাধন বসাক, সমাজকর্মী রুকসানা মিনু, ডাক্তার অনুপম বসাক তিলক।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র ফুটবল একাডেমির সভাপতি প্রভাষক মালা রানী সরকার, কোচ জুয়েল মিয়া, রক্তসৈনিক সদস্য শহীদুল ইসলাম, জিহাদ মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, ইতিহাস সৃষ্টি করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের নারীরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা অর্জন করায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন মারিয়া মান্দা–সানজিদা আক্তারদের গ্রাম কলসিন্দুরের মানুষেরা। টুর্নামেন্টে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এবারও খেলেছেন ছয় নারী ফুটবলার। এমন অজপাড়া গ্রামের মেয়েরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য গর্বের। আমি শুনেছি তারা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও হাল ছাড়েনি ফুটবল প্রাকটিস করেছে। তাদের যাতায়াত, খেলার সরঞ্জাম পুষ্টিকর খাবার সহ নানা জিনিসের ঘাটতি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাড়িয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তারা দূর থেকে হেঁটে আসতো একাডেমিতে প্রাকটিস করার জন্য। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা রক্তসৈনিক পরিবার গর্বিত।
তাদের যাতায়াতের জন্য এ বাইসাইকেল গুলো সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
অত্র ফুটবল একাডেমির সভাপতি মালা রানী সরকার বলেন, ডালিয়া আপার সঙ্গে আমার একাডেমির বাচ্চাদের সমস্যার কথা বলি। কিন্তু আপা এতো তারাতাড়ি বাচ্চাদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ উপহার নিয়ে হাজির হবে কল্পনাও করতে পারিনি। বাইসাইকেল পেয়ে আমাদের কোচ সহ মেয়েরা খুবই খুশি আমি প্রত্যাশা করি এই উপহারের ফলে বাচ্চারা উৎফুল্লভাবে প্রাকটিসে আসবে। খেলায় মনোযোগী হয়ে দেশের সম্মান ভয়ে আনবে।