
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলা উপজেলায় সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার গণপদ্দি ইউনিয়নের বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও উরফা ইউনিয়নের পিছলাকুড়ি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি হিসেবে নগদ ২ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস ফোরাম (ডাফ), ৯৬-৯৭ ও লোকাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (এলবিএনওএ ) উদ্যোগে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে উপজেলার বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. দিদারুল ইসলাম, উপসচিব মশিউল আলম, ডাফ এর সভাপতি ইকবাল মাহমুদ, সহসভাপতি মো. গোলাম রব্বানী, এলবিএনওএ’র সভাপতি ফুয়াদ মোহাম্মদ শরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনষ্ঠানে ডাফ এর সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের অর্ধেক অঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিপুলসংখ্যক স্কুল পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাই শুধুমাত্র বন্যার সময়ে ত্রাণ বিতরণ নয়-বন্যাপরবর্তী সময়েও শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসন করা খুবই প্রয়োজন। কারণ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক গরীব পিতা-মাতার সন্তানেরা আর্থিক সংকটে ভুগে। এতে তাদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে ও ব্যাহত হয়। তাই আর্থিক অসুবিধার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা যাতে হতাশ না হয়, তার জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ কেনাসহ তাদের পড়ালেখায় কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমরা আশাকরি গ্রামাঞ্চলের এসব শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠবে এবং এ দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।’
পরে অতিথিরা বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও পিছলাকুড়ি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ২০০ শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তি হিসেবে নগদ ২ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
ডাফ ও এলবিএনওএ’র দেওয়া বৃত্তি পেয়ে খুশি বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম ও রিমি আক্তার প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলে, ভয়াবহ বন্যার সময় তাদের ঘরে পানি ওঠেছিল এবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রের সঙ্গে তাদের বই-খাতাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এতে তাদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে। এই বৃত্তির টাকা দিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ কিনবে। এতে তাদের অনেক উপকার হবে।