
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরে মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পীরের অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পীরের অনুসারীরা দরবার শরীফে লুটপাট করতে আসা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর মুর্শিদপুর দরবার শরীফের বিভিন্ন অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জনতার একাংশ শুক্রবার সকাল থেকে দরবারে লুটপাট অব্যাহত রাখে ও বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন দিয়ে লুট করা মালামাল নিতে থাকে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুর্শিদপুর পীরের কয়েক শতাধিক অনুসারী দরবারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা লুটপাটকারীদের ধাওয়া ও লুটকরা মালবোঝাই কয়েকটি যানবাহন আগুন দিয়ে পু[ড়িয়ে দেন। পরে বিকেলে পীরের অনুসারীরা দরবার শরীফ ত্যাগ করেন।
এদিকে পীরের অনুসারীদের দরবারে ফিরে আসার সংবাদ জেনে বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে কুসুমহাটী বাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যােব সদস্যরা দরবার শরীফ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে টহল অব্যাহত রেখেছেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সায়েম ক্ষতিগ্রস্ত দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
প্রসঙ্গত. উল্লেখ্য, সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকার মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা ও সংঘর্ষে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি হাফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুর্শিদপুর পীরের দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও তান্ডব চালায়। বিক্ষুব্ধ জনতা দরবার শরীফের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং সেখানে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, গবাদিপশু, কাঠ, টিন, ধান-চালসহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় জনতা দরবারের বিভিন্ন স্থানের অসংখ্য গাছও কেটে ফেলে ও লুট করে নিয়ে যায়।