
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলার ঘটনায় আহত মো. হাফেজ উদ্দিন (৪০) নামে এক এলাকাবাসী মারা গেছেন। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটে। নিহত হাফেজ সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর গ্রামের মো. ইদু মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্রিহা ছিলেন।
লছমনপুর জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল-আরাবিয়া কওমী মাদ্রাসার পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম হাফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্মীয় বিষয়ে মতবিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকার মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা-ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলা প্রতিরোধকালে সংঘর্ষে এলাকাবাসী হাফেজ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
ফারাজিয়া আল-আরাবিয়া কওমী মাদ্রাসার পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম হাফেজের নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত মুরশিদপুর পীরের দরবারে ইসলাম ধর্ম ও শরিয়ত পরিপন্থী কর্মকাণ্ড চলে আসছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ এবং ওই দরবার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর বিষয়টি আপসের কথা বলে দরবারের লোকজন দরবারে ডেকে নিয়ে তাঁদের লোকজনকে বেদম মারধর করেছেন। এতে কাঠমিস্ত্রি হাফেজ উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ও দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মুর্শিদপুর দরবারের অন্যতম খাদেম মো. ইলিয়াছ বলেন, হাফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন। বরং দরবারে হামলার ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মুর্শিদপুর দরবার শরিফের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগটি থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।