বাদী মোঃ আব্বাছ আলী (৫৫), পিতা-মৃত হোছেন আলী, সাং-চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি, থানা-নকলা, জেলা- শেরপুর অভিযোগ করেন যে, তার বড় ভাই মোঃ উসমান মিয়া (৬০), পিতা- মৃত হোছেন আলী, সাং- চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি, থানা- নকলা, জেলা-শেরপুর ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
গত ০৭/০৭/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমানিক ০০.৩০ ঘটিকায় ০৩ জন অজ্ঞাতনামা যাত্রী তার ভাই মোঃ উসমান মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া করে চন্দ্রকোনা বাজার থেকে নকলা থানাধীন বানেশ্বর্দী ইউনিয়নস্থ মিলন বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় রাত অনুমানিক ১.১৫ ঘটিকায় নকলা থানাধীন কবুতরমারি মিলন বাজারস্থ মিলন বাজার থেকে বাউশা এলাকাগামী পাকা রাস্তায় কালভাটের উপর পৌছিলে বিবাদীরা তাহার ভাইকে বানেশ্বর্দী বাজারে যাইতে বলে।
পরে অটোরিকশা চালক বানেশ্বর্দী যাইতে অস্বীকার করে এবং বিবাদীদের নিকট অটোরিকশা ভাড়া চাইলে বিবাদীরা তাহার ভাইয়ের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি মারে, একজন বিবাদী ধারালো চাকু দিয়ে তাহার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি ভাবে আঘাত করিয়া বুকে ও পিঠের ডান পাশে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
বিবাদীদের ধারালো চাকুর আঘাতে অটোরিকশা চালকের বুক কেটে ফুসফুস বের হয়ে যায়। আহত ব্যক্তি চিৎকার করলে আশে-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে আসামিরা অটোরিকশা চালকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ভিকটিম কে চিকিৎসার জন্য নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারিরীক অবস্থা খারাপ ও আঘাত গুরুতর দেখিয়া প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এলাকার লোকজনের মাধ্যমে বাদী সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন সহ নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে এসে তার ভাইয়ের নিকট হতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারে। ভিকটিমকে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে ভিকটিম মোঃ উসমান মিয়া মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ আব্বাস আলী বাদী হয়ে নকলা থানায় অভিযোগ করলে নকলা থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৬/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) পেনাল কোডে মামলাটি রুজু হয়।
ঘটনার পরপরই শেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, পিপিএম মহোদয়ের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান এর পরামর্শক্রমে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনির হোসেনসহ নকলা থানার একাধিক টিম নকলা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অদ্য ০৮/০৭/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আসামি মোঃ সাকিবুল হাসান জয় (১৬) ও মোঃ তানভির @ বর্ণ (১৫) কে গ্রেফতার করে।
উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনাঃ
১। ছিনতাইয়ের চেষ্ঠায় ব্যবহৃত একটি ধারালো চায়না চাকু যার হাতলের কিছু অংশ ভাঙ্গা।
২। আসামী সাকিবুলের ব্যবহৃত মোবাইল একটি।
৩। ভিকটিম উসমানের রক্ত মাখা কাপড় চোপড়।
সোমবার (৮ জুলাই ) বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার সংক্রান্তে ব্রিফিং করেন শেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম।
ব্রিফিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আরাফাতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক, নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।








