শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
সরেজমিনে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রে সকাল নয়টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। সকাল ১০টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলার পূর্বঝিনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের (মহিলা) ৪টি বুথে মাত্র ৯৭টি ভোট পড়ে। এ কেন্দ্রে নারী ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৩ জন। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।

শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৫ জন। বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯৭০টি।
ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৪৬৪ জন। কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮৫০টি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরের পর অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র প্রায় ভোটার শূণ্য হয়ে পড়ে। এ সময় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা অনেকটা অলস সময় কাটান।
শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তারিকুল ইসলাম ভাসানী বলেন, বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ফলে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত কৃষক ও শ্রমিকেরা ভোট কেন্দ্রে আসেননি। এ কারণে নির্বাচনে আশাতীত ভোট পড়েনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে।








