
নওগাঁ সংবাদদাতা: নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে উৎসব মুখর ভাবে উদযাপন হয় এই নবান্ন উৎসব।নতুন আমণ ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর পরই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।এবং সে উপলক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলে বসে গ্রামীণ মেলা।
এর ধারাবাহিকতায় শত বছরের বেশী সময় ধরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের পাশে পদ্ম পুকুর গ্রামের পাশে স্কুল মাঠে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এ মেলা।প্রতিবছরের কার্তিক সংক্রান্তিতে ও ইংরেজি মাসের ১৭ নভেম্বরে বসে এই মেলা।
নবান্নের এই মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ মানুষের মধ্যে এক অন্য রকম উৎসব আমেজে মুখোর হয়ে ওঠেছে আশপাশের ১০/১২ টি গ্রাম।বাড়িতে বাড়িতে শীতের পিঠা পুলি, নতুন ধান থেকে পাওয়া চালের পায়েশ, ক্ষীর ক্ষিরসা রান্না করা হয়।কৃষক পরিবারের প্রয়োজনীয় ধানচালা কুলা, চালুনি, ডালা ইত্যাদি ক্রয় হয় তাদের।এদিকে গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতেই জামাই মেয়েসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন আসে, চলে খাওয়া দাওয়ার ধুমও।
এক দিনের এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানীরা আগের দিন এসে দোকানে মিষ্টি, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী নকশি পাতিল, মাটির ব্যাংক, পুতুল, কাঠের তৈরী ফার্নিচার, কসমেটিক, খেলনা, বাশি, বেলুন, ঘুর্নি, লোহার তৈরী হাঁসুয়া বটি, চাকু, কাগজের ফুল নানা রকম মুখরোচক খাবারেরর দোকান দিয়ে নানান জিনিসপত্রের পশরা সাজিয়ে বসেন।
মেলার এক পাশে চলে ‘বউ মেলা’।বউ মেলায় বিশেষ করে নারীদের কসমেটিক দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভীড়।আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত নারীদের বউ মেলায় আগমন ঘটে।
মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী মনজ কুমার জানান, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এ মেলা হয়ে আসছে।মূলত নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা এই মেলার আয়োজন করে থাকি।