
শেরপুরে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। রোববার সকালে মহাষ্টমীর পূণ্যতিথিতে প্রতিটি পূজামণ্ডপে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সকল মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করে বিশেষ প্রর্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় মণ্ডপগুলোয় আরতি ও রাতে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধি পূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে।
এদিন শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার এলাকায় অবস্থিত ৬১ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পোদ্দারবাড়ির পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা।দেবীর কুমারী রূপে এই পূজায় অংশ নেন টাঙ্গাইল থেকে আগত প্রমা গোস্বামী।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শেরপুরে প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম প্লেট দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী দৃষ্টিনন্দন পূজামণ্ডপ তৈরি করেছে ৫০ বছরের প্রাচীন মারচেন্ট ক্লাব নামের একটি সংগঠন। প্রায় দেড় মাস ধরে বানানো এই ভিন্নধর্মী আয়োজন দেখতে এখন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। প্রতিবছর বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে আসছে জেলা শহরের নয়আনী বাজার এলাকার ঐতিহ্যবাহী মারচেন্ট ক্লাব।এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৮ হাজারের বেশি ওয়ানটাইম প্লেট দিয়ে পূজামণ্ডপ তৈরি করেছে ক্লাবটি।
মারচেন্ট ক্লাব পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব সরকার এ প্রতিনিধিকে বলেন, এবারের পূজামণ্ডপ তৈরি করতে তাঁদের প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মণ্ডপটি তৈরি করেছেন নয়আনী বাজার এলাকার দুই যমজ ভাই কারুশিল্পী গৌড় মালাকার ও নিতাই মালাকার।
অন্যদিকে ময়মনসিংহের রেঞ্জ পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচারয রোববার বিকেলে শেরপুর শহরের গোপালবাড়ি মন্দির, নয়আনী বাজারের মা ভবতাঁরা মন্দিরসহ জেলার কয়েকটি মন্দির পরিদরশন করেন।এ সময় তিনি পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান।
সুন্দর প্রতিবেদন